ঘরের সিলিংয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন একই পরিবারের চারজন। অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে দু’বছর বয়সী এক শিশু। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ক্ষুধার জ্বালা সইতে না পেরে মারা গেছে ৯ মাস বয়সী দুধের শিশুটি।
ঘটনার পাঁচ দিন পর শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের ব্যাঙ্গালোরের একটি বাড়ি থেকে ৫টি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
দেশটির পুলিশের ধারণা, চারজনই আত্মহত্যা করেছে। তবে পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলতে চায়নি তারা।
মৃতরা হলো- ভারতী (৫১), তার দুই মেয়ে সিঞ্চনা (৩৪) ও সিন্ধুরাণী (৩৪), তাঁর ছেলে মধুসাগর (২৫) ও ৯ মাসের শিশু কন্যা। পচন ধরা অবস্থায় দেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, সম্ভবত পাঁচদিন আগেই তাদের মৃত্যু হয়। বাড়ির একটি হলঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ভারতীর দেহ। দুই মেয়ের দেহ ঝুলছিল একতলার ঘরে। ওখানেই নয় মাসের শিশুটি মৃত অবস্থায় পড়েছিল। মধুসাগরের দেহ যেখানে ঝুলছিল সেখানেই অচৈতন্য অবস্থায় শুয়েছিল দু’বছর বয়সী ওই শিশু কন্যাটি। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ভারতীর স্বামী এইচ শঙ্কর ফিরে আসার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়।
এসিপি (পশ্চিম) সৌমেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, শঙ্কর এখন শোকাহত অবস্থায়। তাকে জিজ্ঞাসা করলেই অনেকটা পরিষ্কার হবে বিষয়টি।
তবে পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্কর জানিয়েছেন, তার একটি মেয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তার সঙ্গে থাকছিল। বিষয়টি তিনি মানতে পারেননি। এ নিয়েই বাড়িতে অশান্তি হতো। এর মাঝেই গত ১২ সেপ্টেম্বর অশান্তি করে বাড়ি ছেড়়ে চলে গিয়েছিলেন শঙ্কর।
Leave a Reply