চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লাখ লাখ গ্রাহককে আকৃষ্ট করে প্রলোভন দেখিয়ে নেমে পড়েন ইভ্যালির নামে অফার-বাণিজ্যে। হাতিয়ে নেন গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা। আর গ্রাহকের টাকা দিয়েই বিলাসবহুল জীবনযাপন করতেন ইভ্যালীর এমডি রাসেল।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, ইভ্যালির মতো গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করা অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
তিনি বলেন, প্রতারক সব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজারমূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে পণ্য বিক্রির অফার দিয়ে যারা গ্রাহকদের পণ্য দেয় না, তারা প্রতারণা করছে।
এদিকে গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, ইভ্যালীর এমডি রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান গুলশানের উপ-পুলিশ কমিশনার ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করে র্যাব । পরে শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করলে ৩ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন আদালত ।
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে অনিয়মের অভিযোগ ওঠা ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ ১০ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে কমিটির বৈঠক শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক ও ডিজিটাল ই-কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, ধামাকাসহ বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু আইন অমান্য করেছে, সুতরাং মিনিস্ট্রি সরাসরি কোনো দায়িত্ব না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিষয়টি রেফার করে দেওয়া যাতে তারা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এটা হলো আজকে সভায় কমিটির সুপারিশ।’
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছেও চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান হাফিজুর রহমান।
Leave a Reply