টানা তিনদিন ধরে লাগাতার অভিনেতা সোনু সুদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানোর পর শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিবৃতি জারি করেছে আয়কর দফতর। করোনাকালে দরিদ্রের ‘মসিহা’ হয়ে ওঠা এই অভিনেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছে আয়কর দফতর।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন সোনু সুদ। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে নাম জড়িেয়ছে সোনুর সহকর্মীদেরও।
আয়কর দফতরের দাবি, সোনু সুদের এনজিও-র তরফে বিদেশে থেকে প্রায় ২.১ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ক্রাউডফান্ডিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে, যা সরাসরি যা ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্টের সরাসরি লঙ্ঘন।
আয়কর দফতর জানিয়েছে, যেই রোজগারের হিসেব সোনু সুদ লুকাতে চাইতেন, সেটা বেনামী সংস্থাদের থেকে ভুয়ো ঋণ নেওয়ার খাতে দেখানো হত। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই এই ধরনের ২০টি বেনামী লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন, যাঁরা সেই ভুয়ো ঋণ দিয়েছেন তাঁরা জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন এই জালিয়াতির কথা।
দ্য সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্ট ট্যাক্সেস-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত সোনু সুদের সংস্থা ১৮.৯৪ কোটি টাকা অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ১.৯ কোটি টাকা সমাজসেবার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। বাকি ১৭ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। সোনুর অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ১.৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। এরই সঙ্গে সোনুর প্রায় ১১টি লকার সিজ করেছে দফতর। আয়কর দফতরের দাবি, সোনু ও তাঁর সংস্থা নগদ টাকার বিনিময়ে চেক দিতেন। এমনকী হিসেবের খাতায় পাওয়া টাকা ঋণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, যাতে কর ফাঁকি দেওয়া যায়।
শুক্রবারও (১৭ সেপ্টেম্বর) সোনু সুদের বাড়ি ও অফিস সহ ৬টি স্থানে আয়কর বিভাগ টানা তৃতীয় দিনে অভিযান চালায়। সূত্র মারফত জানা গেছে, সোনুর বাড়ি থেকে এমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পাওয়া গিয়েছে যার থেকে আয়কর ফাঁকির প্রমাণ স্পষ্ট। সোনু সুদের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন সঙ্গে সম্পর্কিত এই আয়কর ফাঁকির বিষয়টি। এমনকী, ছবি থেকে যে আয় তিনি করেন তাতেও কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে৷
Leave a Reply