জল্পনাই সত্যি হলো। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। নভজ্যোৎ সিং সিধুর শিবিরের সঙ্গে দীর্ঘ টালবাহানার মধ্যেই অমরিন্দর সিং রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের হাতে তাঁর ইস্তফাপত্র তুলে দেন। অমরিন্দর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, পদ ছাড়তে হলে দল ছেড়ে দেবেন। এখন তিনি কী সিদ্ধান্ত নেন, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
এদিকে বিকেল পাঁচটায় অজয় মাকেনের নেতৃত্বে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠক আশা করা যায় সেই বৈঠকেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করবে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
অমরিন্দর সিং মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়ছেন এ বিষয়টি প্রথম পরিষ্কার করেন তাঁর পুত্র রনিন্দর সিং। গভর্নরের কাছে অমরিন্দরের ইস্তফাপত্র দেওয়ার ছবিটি তিনিই ট্যুইটারে তুলে দেন। তার শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদই অবশ্য তিনি ট্যুইটারে জানান ,পরিবারের সঙ্গে তিনি রাজভবনে যাচ্ছেন।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনভর পাঞ্জাবে ঘোর নাটক চলেছে অমরিন্দরের ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিকেল পাঁচটায় পরিষদীয় দলের বৈঠক, তার আগেই হাওয়া বুঝে অমরিন্দর সমর্থকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসতে চেয়েছিলেন, ঘনিষ্ঠমহলে তিনি নাকি এমনও বলেন যে দল চাইলে সসম্মানে পদত্যাগ করবেন তিনি। এই বৈঠকে খুব বেশি বিধায়ক হাজির হননি অবশ্য। এখান থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায়, অমরিন্দরের শেষের বাঁশি বেজে গিয়েছে। একদিকে তখন সিধু হাজির চন্ডিগড় এয়ারপোর্টে মণীশ তিওয়ারি এবং অজয় মাকেনদের অভ্যর্থনা জানাতে, ঠিক তখনই রাজ্যপালের বাসভবনে রওনা দেন অমরিন্দর সিং।
পদত্যাগ করার পর ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং বলেন, “আমি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। আমি সনিয়া গান্ধীকে সকালেই জানিয়ে দিয়েছি যে আমি ইস্তফা দিতে চাই। এই নিয়ে তৃতীয়বার এখানে পরিষদীয় দলের বৈঠক হচ্ছে। ওঁরা পছন্দমত লোককে মুখ্যমন্ত্রী বানাক।”
অমরিন্দর সিং বলেছেন, “আমার জন্য ভবিষ্যতে বহু পথ খোলা আছে। আমি সেই পথ ব্যবহার করব। কংগ্রেস যাকে মুখ্যমন্ত্রী বানাবে তাকে মানতে আমি রাজি নই। আমি আগে নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইব আমার সঙ্গে কারা থাকতে চাইছেন।”
Leave a Reply