গত কয়েক মাসের মহা নাটকের অবসান। এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বাবুল সুপ্রিয়র হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিলেন স্বয়ং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মাহেন্দ্রক্ষণে উপস্থিত ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েনও।
গত ৩১ জুলাই বাবুল সুপ্রিয় ফেসবুকে লিখেছিলেন, চললাম আলবিদা। অবশ্য বাবুল এও বলেছিলেন, রাজনীতি না করলেও সমাজসেবায় দেখা যাবে তাকে। আজকের ঘটনায় এটুকু পরিষ্কার, বাবুল চাইলেও রাজনীতি ছাড়তে চাইছে না তাকে।
বাবুল যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে এই টুইট সামনে আসতে না আসতেই ট্যুইটটি শেয়ার করে ডেরেক ও’ব্রায়েন লিখেছেন, খেলা হবে।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা বেলায় বাবুল সুপ্রিয় নিরাপত্তা কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। ঘোষণা করা হয় বাবুলকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হবে। জল্পনা চলছিল তখন থেকেই।
বাবুলকে তৃণমূল পরিবারে অভ্যর্থনা জানান স্বয়ং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগেই বাবুল সুপ্রিয়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতেও দেখা গিয়েছিল। বাবুল সেই ঘটনাকে সৌজন্যই বলেছিলেন।
অগাস্ট মাসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে বৈঠক করে বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর রাজনীতিতে থাকবেন না। কিন্তু তার মানে যে তৃণমূল গমন তা অতি বড় রাজনীতিবিদও বুঝতে পারেননি।
রাজ্য বিজেপির সঙ্গে বাবুলের দূরত্ব ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলে সেখানে বাবুলের ঠাঁই হয়নি। তাতে অভিমান করে বাবুল রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। যদিও অমিত শাহ, জে পি নাড্ডাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলেছিলেন তিনি। তাতে অনেকে মনে করছিলেন বাবুল কক্ষচ্যুত হতে পারেন কিন্তু অন্য জার্সি গায়ে গলাবে না।
উল্লেখ্য ভবানীপুরে বাবুল ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কার টিবরেওয়ালকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঠিক ভোটের আগে সেই বাবুলকেই তুলে নিয়ে স্যাকরার ঠুকঠাকের উত্তরে কামারের ঘা দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
যেহেতু ভবানীপুরে বাবুল ঘনিষ্ঠ প্রিয়াঙ্কাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী তাই স্টার ক্যাম্পেনার বা তারকা প্রচারক হিসেবে বিজেপি ভবানীপুরে বাবুলের নাম রেখেছিল। বাবুল তখনই জানিয়ে দেন প্রচারে যাবেন না। কেন যাবেন না বলেছিলেন তিনি, তা আজ বোঝা গেল।
Leave a Reply