জয়পুরহাটে জীবিত থেকে ও মৃত রেহেনা খাতুন। বয়স ৪৩ বছর। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধন করার সময় বার বার চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হন তিনি। এর আগে ভোট দিতে গিয়ে ভোটার লিষ্টে নাম খুঁজে পাননি তিনি। নির্বাচন অফিসে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন কাগজে-কলমে তিনি এখন মৃত। তথ্য সংগ্রহকারী ও ডাটা এন্ট্রির সময় কম্পিউটার অপারেটরের ভুলে এ সমস্যা হতে পারে। মুঠোফোনে এমনটা জানিয়েছেন জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেবুন্নেছা শাম্মী।
নির্বাচন কমিশনের ‘গাফলতিতে’ বেঁচে থেকে ও সরকারি নথিতে এখন মৃত ভোটারের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি হওয়ায় ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া থেকে ও বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।
জীবিত থেকে ও ভোটার তালিকায় মৃত রেহেনা খাতুনের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের হানাইল উত্তরপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেহেনা খাতুন বলেন, কীভাবে আমি মারা গেলাম বুঝতে পারছি না। তবে আমি সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। করোনার টিকা নিবো কিন্তু সেটি ও সম্ভব হচ্ছে না। আমি জীবিত হতে চাই।
জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, রেহেনা খাতুন ১লা জুলাই ১৯৭৯ সালে জন্মগ্রহন করেন। তার স্বামী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান। মাতা রেজিয়া খাতুন। আইডি নম্বর ৩৮১৪৭১৯২১৯২১০। তার বর্তমান বয়স ৪৩ বছর।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জেবুন্নেছা শাম্মী বাংলা টাইমসকে জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারী ও ডাটা এন্ট্রির সময় কম্পিউটার অপারেটরের ভুলে সমস্যাটি তৈরী হতে পারে। ভুক্তভোগীরা আবেদন করলে দ্রæত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply