1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
'ইভ্যালিকে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল এমডি রাসেলের' - বাংলা টাইমস
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৩ অপরাহ্ন

‘ইভ্যালিকে বিক্রির পরিকল্পনা ছিল এমডি রাসেলের’

নিজস্ব প্রতিবেদক 
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৩৭ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন নানা প্রলোভনের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশীয় বা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দায়সহ ইভ্যালিকে বিক্রি অথবা দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনা ছিলো প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি মো. রাসেলের।

 

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিক্রি বাড়াতে গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা তৈরি হয় এ ধরনের পণ্যকে বেছে নেয় ইভ্যালি। আর এসব পণ্যের মূল্য ছাড়ের ফলে ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়। ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানের বিশাল আকারে দায় তৈরি হয়।

 

আরও বলা হয়, গ্রেফতার রাসেল ও তার স্ত্রীর ব্যবসায়িক অপকৌশল ছিল নতুন গ্রাহকের উপর দায় চাপিয়ে দিয়ে পুরাতন গ্রাহক ও সরবরাহকারীর দায়ের (লায়াবেলিটিস) অল্প অল্প করে পরিশোধ করা। অর্থাৎ ‘সায় ট্রান্সফার’ এর মাধ্যমে দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল চালিয়ে যাচ্ছিল ইভ্যালি।

 

ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল র‌্যাবের কাছে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির হাজার কোটি টাকা দেনা রয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করে র্যাব।

 

এর আগে বিকেল ৪টা থেকে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের মোহাম্মাদপুরের বাসায় অভিযান চালানো হয়।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডির বিরুদ্ধে মামলার পরিপেক্ষিতে বিকেল ৪টা থেকে রাসেলের মোহাম্মাদপুরের বাসায় গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়।

 

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগ্রাম এলাকার বাসিন্দা মো. আরিফ বাকের মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলায় ১নং আসামি ইভ্যালি এমডি মোহাম্মদ রাসেল ও ২নং আসামি চেয়ারম্যান শামীমা। এছাড়া এই মামলায় আরও কয়েকজনকে ‘অজ্ঞাতনামা’ দেখিয়ে আসামি করা হয়েছে।

 

মামলার এজাহারে উল্লেখ, ইভ্যালির অনলাইন প্লাটফর্মে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকার পণ্য অর্ডার করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা পাননি তিনি। নিরুপায় হয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন।

 

গত ২৯ মে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ সব মূল্য বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ন পরিশোধ করেন তারা।

 

পণ্যগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি ও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন আরিফরা।

 

একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য প্রদান ও টাকা প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যান আরিফ ও তার বন্ধুরা।

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রূপগঞ্জের এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট