কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউপির হধকরা গ্রামে বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রবিউল মিয়ার পুকুরে বিষ ঢেলে কয়েক হাজার টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই পুকুরের আশে পাশের লোকজন মরা মাছ ভাসতে দেখে পুকুর মালিক রবিউলকে খবর দেয়। তাৎক্ষনিক মৎস্য চাষী রবিউল পুকুরে মাছ মারার দৃশ্য দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে এবং স্বজনরা এসে ওই পুকুর থেকে মরা মাছগুলো তুলে স্থানীয়দের দেখায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার প্রস্তুুতি চলছে।
ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষী রবিউল মিয়া বাংলা টাইমসকে জানায়, গ্রামের একটি ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি থেকে মৎস্য চাষের জন্য ১০ হাজার টাকা ঋণ নেই। এরমধ্যে ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। বাকী ৩ হাজার টাকার কিস্তি ১ হাজার টাকা বকেয়া পড়ায় তাদের কাছে সময় চেয়েছি। কিন্তু ওই সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা আমার বাড়ী এসে বিভিন্ন সময় আমার সাথে খারাপ আচরণসহ নানাহ হুমকি-ধমকি দিয়ে যায় এবং পুকুরে মাছচাষ কিভাবে করি তারা দেখে নিবে। তাই আমার পুকুরের মাছ মরার ঘটনার সাথে সমিতির লোকজন জড়িত থাকতে পারে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম ও মিন্টু মিয়া বাংলা টাইমসকে জানায়, গ্রামের কিছু লোকজন নিয়ে আমরা ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি করেছি। এলাকার দরিদ্র মানুষদের ক্ষদ্র ঋণ দিয়ে সাবলম্বী করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। শাহীন ও রবিউল আমাদের ক্ষুদ্র সমিতি থেকে ঋন নিয়ে সময় মতো কিস্তি দিচ্ছে না এ নিয়ে ওদের বিরুদ্ধে স্থানীয় ভাবে ও আইনগত ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তারপরও তারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করছে না। মাছ মারার বিষয়টি সামনে এনে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া জানায়, মাছ মরার বিষয়ে রবিউল আমার মুঠোফোনে জানালে তাৎক্ষনিক ওই পুকুর পাড়ে গিয়ে মাছ মরার দৃশ্য দেখে বিবৃতবোধ করি। তাকে এ ব্যাপারে সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ আইনগত ব্যবস্থার পরামর্শ দেই।
Leave a Reply