জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বিনইল গ্রামের এক স্কুল শিক্ষিকার দায়ের করা যৌতুক মামলায় স্বামী সহকারী কাস্টমস কর্মকর্তা জুবায়ের রহমান (৩২)কে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর ) বিকালে জয়পুরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ আদেশ দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনীতে জানা গেছে, ২০১৪ সালে কালাই উপজেলার বিনইল গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা খাইরুন নেছার সাথে ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার রান্ডিলা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং সাতক্ষিরা সদরের পলাশপোল এলাকার কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জুবায়ের রহমানের বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় খাইরুন শিক্ষিকা হিসেবে চাকুরীরত থাকলেও জুবায়ের ছিলেন বেকার। পরবর্তীকালে জুবায়ের একটি ব্যাংকে কিছু দিন চাকুরী শেষে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
এরমধ্যে জুবায়ের প্রথম বিয়ে গোপন করে এক নারী চিকিৎসককে বিয়ে করেন। বিষয়টি গোপন রেখে জুবায়ের কিছু দিন ধরে খাইরুনের কর্মস্থল বাবার বাড়ি বিনইল গ্রামে আসা যাওয়ার করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে খাইরনের পরিবারের কাছে জুবায়ের ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। এ ছাড়াও খাইরনের কাছ থেকে তিনি বেশ কয়েক ব্যাংক চুরি করে নিয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর জয়পুরহাট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে খাইরুন যৌতুকের মামলা করেন।
১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জামিন লাভের জন্য আদালতে হাজির হলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক জুবায়েরের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
আনামী পক্ষে আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট মাকসুদ ও বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন এ্যাডভোকেট মানিক হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
Leave a Reply