1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে ছেলে - বাংলা টাইমস
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে ছেলে

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৪৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ছেলের হাতে মা খুন। ঘরের মেঝেতেই মৃত মাকে পুঁতে দেওয়ার মতো হাড় হিম করা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারতের বর্ধমানে। এ অভিযোগ ওঠার পর ঘরের মেঝে খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো মাথার খুলি, হাড় কঙ্কাল। তার আগে অভিযুক্ত সেখ সইদুল ওরফে নয়ন পুলিশকে দেখিয়েছিল ঘরের মেঝের ঠিক কোনখানে সে খুন করার পর পুঁতে দিয়েছিল মায়ের দেহ। তার দেখানো জায়গা খুঁড়তেই চার ফুট নিচ থেকে বেরিয়ে এলো মাথার খুলি, হাড়গোড়।

 

সত্যিই কি ঘরের মেঝেতে পোঁতা রয়েছে মহিলার দেহ? সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে বুধবার সকালে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেছিল বর্ধমান থানার পুলিশ। এই কঙ্কাল সুকরানার বিবিরই কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

 

মাকে খুন করে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দু-বছর সেই ঘরেই বসবাস করছিল ছেলে। প্রতিদিন সেখানে ধূপ জ্বালাতো ছেলে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। তার দেখানো মতো জায়গাতেই মাটি খোঁড়ার পর উদ্ধার হয়েছে হাড় কঙ্কাল। পরে আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তকে।

 

বর্ধমান থানার হটুদেওয়ান পীরতলা ক্যানেল পার এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত মহিলার নাম সুকরানা বিবি ( ৫৮)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মা সুকরানা বিবির বেড়াতে যাওয়ার নেশা ছিল। বারে বারেই তিনি বেড়িয়ে পড়তেন। মায়ের স্বভাব পছন্দ করতো না ছোট ছেলে সেখ নয়ন আলি। বার বার সে মাকে নিষেধ করতো। অভিযোগ, এসব নিয়ে মা ছেলের বিবাদ চরমে পৌঁছলে নয়ন মুগুর দিয়ে মা সুকরানার মাথায় আঘাত করে।

 

এরপরই ছেলে নয়ন মাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে অভিযোগ। কেউ না থাকার সুযোগে রাতারাতি মাটির ঘরের মেঝে খুঁড়ে ফেলে নয়ন। সেখানে মা সুকরানার মৃতদেহ পুঁতে দেয় নয়ন। রাতারাতি মাটি দিয়ে মেঝে ভরাট করে দেয় সে। প্রতিদিন সে সেই মেঝেতে ধূপ দিত বলেও জানিয়েছেন পরিবারের অন্যান্যরা।

 

মা সুকরানা বিবি তার ছোট ছেলে সেখ নয়ন আলি সঙ্গেই থাকতেন। সুকরানা বিবি খুব বেড়াতে ভালবাসতেন। মাঝে মাঝেই তিনি বেড়াতে বেড়িয়ে পড়তেন। হঠাৎই গত ২০১৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সুকরানা বিবি। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সুকরানার বড় ছেলে সেখ কিসমত আলি বর্ধমান থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে।

 

খুনের বিষয়টি ফাঁস করে নয়নের স্ত্রী। সুকরানা খুন হওয়ার ছ মাস পর নয়নের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে অশান্তির কারনে সে এখন ভাতার থানার এরুয়ারে বাপের বাড়িতে থাকে। অভিযোগ, তাকেও মাঝেমধ্যেই মারধর করতো নয়ন। ‘মাকে খুন করে মেঝেতে পুঁতে রেখেছি। তোকেও খুন করে দেহ গায়েব করে দেব’- এমন শাসানি শুনেই সে প্রাণভয়ে বাপের বাড়ি চলে যায়।

 

নয়নের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মনোমালিন্য মেটাতে নয়নের দাদা কিসমত আলি হস্তক্ষেপ করেন। সোমবার তিনি এড়ুয়ারে গিয়ে নয়নের স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। আর তখনই নয়নের স্ত্রী তাঁকে জানান, নয়ন তার মা সুকরানা বিবিকে মেরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে রেখেছে। রাতে বাড়ি ফিরে আসেন কিসমত আলি। এরপর মঙ্গলবার সকালে তিনি ভাই নয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিসমত আলি প্রতিবেশীদেরও ডাকেন। সকলের জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে নয়ন। স্থানীয়দের কাছে স্বীকার করে, সে মাকে মেরে ঘরের মেঝেতে পুঁতে দিয়েছে।

 

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট