প্রতিপক্ষের দেওয়া বেড়ায় ১২ দিন থেকে বন্দি হয়ে আছে ৭ পরিবারের প্রায় ৩০ সদস্য । এতে করে চরম ভোগান্তিতে দিন কাঁটাচ্ছে তারা। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দিলালপুর জুম্মাপাড়ার মকবুল হকের ছেলে এরশাদের পরিবারসহ মৃত নুরুদ্দিনের ছেলে রফিকুল, মৃত এলাহি মাস্টারের ছেলে ছাইদুল, সেরাজুল এবং আব্দুল খালেক ও তার ছেলে মোকলেছুর, জন্নুনের পরিবার এমন বন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।
সরেজমিন দেখা যায়, এরশাদের বাড়ির সামনে পুকুরের ধার দিয়ে চলাচলের জন্য চিকন একটি গলি আছে। সেখানে বাঁশ দিয়ে আড়াআড়ি করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এরশাদদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বেড়ানোর বিকল্প রাস্তা না থাকায় তারা প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ক্রয় সহ দৈনিক কাজকর্ম করতে পারতেছে না।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার জমি ও বসতিভিটা নিয়ে এনামুলের সাথে এরশাদের দ্বন্ধ চলে আসছে। পাঁচ মাস আগে এরশাদদের চলাচলের রাস্তায় টিনের প্রাচীর দেয় এনামুল। প্রাচীরের বাইরে একটি চিকন গলি দিয়ে এতোদিন এরশাদ সহ অন্যরা চলাচল করতো। কিন্তু গত ৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে এনামুল সেই গলিতেও বাঁশের বেড়া দিয়েছে।
এরশাদ বলেন, ‘আমি দুই দাগ থেকে আড়াই শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। কিন্তু ওরা (এনামুল গং) ওই দাগে বাড়ি করে আমাকে দখল ছেড়ে দিচ্ছে না। আগে ওদের দেওয়ালের ধার দিয়ে যেতাম, এখন সে পথও বন্ধ করে দিয়েছে। এখন আমার পরিবার সহ ৭ পরিবারের সদস্যরা বের হতে পারছে না। আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। দিন এনে দিনে খাওয়া মানুষ আমরা কাজে যেতে পারছি না। কঠিন বিপদে আছি আমরা। ’
এরশাদ আরো জানান, স্থানীয় মতব্বররা বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা বসলেও সমাধান হয়নি। গ্রাম আদালতে জানালে চেয়ারম্যানের অসুস্থ্যতা সহ নানা কারণে আজও কোনো সুফল মিলে নি। থানায় জানানোর পর পুলিশ তিন দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও দ্বন্ধের মিমাংশা হয়নি।
এ বিষয়ে এনামুলের বড় ভাই ময়নুল বলেন, এরশাদের আগেই এই পাঁচ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি করেছে আমার দুই ছোট ভাই। জমি বিক্রেতা সঠিকভাবে জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে।
ঘটনার তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা স্বপন বাংলা টাইমসকে জানান, উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে বলেছি, কিন্তু মিমাংশায় রাজি না হওয়ায় আদালতের সহযোগিতা নিতে বলেছি।
Leave a Reply