গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ড্রেন নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ার কারনে ড্রেনের গর্তে উল্টে গেল ইজিবাইক। অল্পের জন্য বেঁচ গেলেন চালকসহ যাত্রীরা। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার সামনে বাইসাইকেল চালককে সাইট দিতে গিয়ে ইজিবাইক উল্টে নির্মাণাধীন ড্রেনের গর্তে পড়ে যায়।
এ সময় সাইকেল চালক ইজিবাইকের নিচে চাপা পড়েন। গুরুতর আহত সাইকেল চালক ফরমান আলী, ইজিবাইকের যাত্রী লাল মিয়া, জোসনা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পৌর এলাকায় নির্মাণাধীন এ ড্রেনে ভেঙে আস্তে আস্তে ভেঙ্গে পড়ছে সম্পুর্ণ পাকা সড়ক ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীর। সিডিউলের সময়সীমার দেড় বছর পার হলেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ড্রেন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় পৌরবাসিকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন ঘটছে ছোটখাট সড়ক দুর্ঘটনা।
গত দেড় মাস থেকে পৌরসভার ড্রেন নির্মাণ কাজ স্থগিত রয়েছে। পৌর কর্তপক্ষের দাবি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বহুবার আবেদন করা হয়েছে। তারপরও কোন কারণ ছাড়াই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে প্রকল্প পরিচালক একটি আদেশ দিয়েছিলেন আগামি ২১ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে, যে পরিমান কাজ সম্পন্ন হয়েছে, তার বিল পরিশেধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে আদেশে।
পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী মেহেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এরই মধ্যে চিঠির বেধেঁ দেয়া ২১ দিন শেষ হয়ে গেছে।গাইবান্ধার মের্সাস মতলুবুর রহমান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বাহিরগোলা মোড় হতে ডাক বাংলো মোড় এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হতে বাজারের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ১ হাজার ৩৪৫ মিটার ড্রেন এবং ৬২০ মিটার রাস্তা নির্মাণ করছে। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্ধিত সময়সীমা ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। প্যাকেজটির বিপরীতে নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এখনও নির্মাণ কাজের সিংহভাগ বাকী রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, ড্রেনের জন্য গর্ত করা হলেও ঢালাইয়ের কাজ না করায় থানার সীমানা প্রাচীরের প্রায় দেড়শত ফুট ভেঙে পড়েছে, পাশাপাশি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর এবং থানার সীমানা প্রাচীর হুমকির মুখে পড়েছে এবং সেই সাথে ধ্বসে যাচ্ছে পাকা সড়ক
গোলাম রব্বানী নামে এক ব্যক্তি জানান, ড্রেন নির্মাণ বন্ধ থাকার কারণে সীমানা প্রাচীর এবং পাঁকা সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। এতে করে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সরদার মো. সাঈদ হাসান লোটন বাংলা টাইমসকে জানান, বৃষ্টির কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুতের পোল না সরানোর কারনে ড্রেন নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।
পৌর মেয়র আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু জানান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য বার বার তাগিদ দেয়া সত্বেও ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করছে না এবং সেই কারণেই প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
Leave a Reply