মোঃ আবদুর রহমান (৩৮) পেশায় ভ্যানচালক। কাজ করছেন স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সংসার করছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে তিনি একজন মৃত ব্যক্তি। এ কারণে তিনি করোনার টিকা দিতে পারেননি। পান না সরকারের দেওয়া কোনো সুযোগ-সুবিধা।
আবদুর রহমানের বাড়ি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কাঁচাকুল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আমিমুদ্দীন প্রধান, মায়ের নাম মোছা. ছায়েদা বেগম। তাঁর জন্ম ১০ অক্টোবর ১৯৮৩ সাল।
আব্দুর রহমানের ভাষ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁর পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে কোনো কাজ হচ্ছিল না। তিনি ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন।
পরে তিনি তাঁর পরিচয়পত্র নিয়ে ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাঁকে জানানো হয়, তিনি মৃত। একই নামে তাঁর গ্রামের একজন বৃদ্ধ মারা যান। ওই বৃদ্ধের বদলে নামের ভুলে তাঁকে মৃত দেখানো হয়।
নিজের জীবিত থাকার প্রমাণ দিয়ে এক বছর আগে তিনি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। তবে কোনো অগ্রগতি হয়নি। সর্বশেষ গণটিকা কার্যক্রমের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে টিকা নিতে গিয়ে তিনি টিকা পাননি। কারণ, তাঁকে মৃত দেখাচ্ছে।
স্থানীয় বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রাফিউল ইসলাম বলেন, আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আবদুর রহমান। তিনি ভ্যানচালক। তিনি জীবিত। একই গ্রামের একজন বৃদ্ধ মারা যান। এর পর থেকে জীবিত মো. আবদুর রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যে তাঁকে মৃত দেখাচ্ছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছার রহমান বাংলা টাইমসকে বলেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ভুক্তভোগী ব্যক্তি যোগাযোগ করলে তাঁর সমস্যার সমাধান করা হবে।
Leave a Reply