করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর দেশে ১২ সেপ্টেম্বর, রোববার থেকে কঠোর স্বাস্থবিধি মানার শর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশে স্কুল, কলেজ এর রিওপেনিং ডে তে ব্যাপক ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতি চোখে পড়েছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই দিনে যেন ঈদের আনন্দ বয়ে আনে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে তারা। ক্লাশে যোগ দেয় মনের আনন্দ নিয়ে। কাছে পেয়ে দীর্ঘ সময়ে না বলা কথা শেয়ার করে একে অপরের সাথে।
করোনায় তছনছ হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। ক্ষতি হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কিছু। এরপরও তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সারাবিশ্বেই শিক্ষাব্যবস্থায় বিপর্যয় নেমে আসে। ফলে, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। অনেক দেশে করোনা সংক্রমনের মধ্যে স্কুল খুলে আবারো বন্ধ রাখতে হয়েছে।
গতকাল (১২ সেপ্টেম্বর) আমাদের দেশে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা খুলে দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও খুশি হয়েছেন। দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা এক ধরণের ঘরবন্দি ছিল। স্কুল খোলায় তাদের সেই বন্দিত্ব ঘুচেছে! যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর রি ওপেনিং ডেতে শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অনেক স্কুল, কলেজে তাদের বাবা-মা’রাও উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে তারা তাদের সন্তানদের অপেক্ষায় থেকেছেন। উৎসব, আনন্দে শিক্ষার্থীদের গতকালের ক্লাশের পুরোটা সময় কেটেছে। শিক্ষকরাও তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে পাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ ছেদের ইতি ঘটেছে।
বলা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় অনিশ্চয়তা দূর হয়েছে। আশা জেগেছে শিক্ষাব্যবস্থায় আবারো কাংখিত মান অর্জনের। উৎসব, আনন্দে শিক্ষার্থীদের মেতে উঠার এই দিনগুলি স্থায়ী হোক। দূর হোক সব শংকা। করোনা থেকে পুরোপুরি মুক্তি পাক গোটা বিশ্ব- এই কামনা রইল।
★ লেখক: শিক্ষক ও কলামিস্ট
[email protected]
Leave a Reply