1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
গৃহবধূকে লাঠিপেটা: স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদ গ্রেফতার - বাংলা টাইমস
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

গৃহবধূকে লাঠিপেটা: স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদ গ্রেফতার

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৩০ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামে দাবীকৃত যৌতুকের ২ লাখ টাকা না পেয়ে ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না (২৪) নামের এক গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী, শ্বাশুড়ী ও ননদকে সেনবাগ থানা পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো-স্বামী আনোয়ার হোসেন (৩২), শ্বাশুড়ী হরমুজা বেগম (৬৩) ও ননদ শাহেদা আক্তার (৩৫)।

 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গ্রেফতারকৃতদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সেনবাগ উপজেলার ২নং কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের জাহাজী মন্নানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের পরিকোট উত্তর পাড়া সুতা বেপারী বাড়ির ইয়াছিনের মেয়ে কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না সঙ্গে ৫ বছর আগে ডমুরুয়া ইউনিয়নের বীরকোট গ্রামের জাহাজী মন্নানের বাড়ির তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিবাহ হয়। বিবাহের দুই বছর পর আনোয়ার হোসেন বিদেশ বাহারানইন যাবার কথা বলে কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নার পিতা ইয়াছিনের নিকট থেকে দেড় লাখ টাকা হাওলাত নেয় পর্যায় ক্রমে পরিশোধ করবে বলে। কিন্তু সে ওই টাকা আর পরিশোধ করেনি সে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বিগত ৪ মাস আগে বিদেশ থেকে দেশে এসে শশুর বাড়ি থেকে আরো দুই লাখ টাকা এনে দিকে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নাকে চাপ দিতে থাকে।

 

 

শনিবার বিকেলে স্বামী আনোয়ার হোসেন আবারো যৌতুকের ২লাখ টাকা এনে দিতে বললে গৃহবধূ কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্না অপরাগতা প্রকাশ করলে স্বামী আনোয়ার হোসেন, শ্বাশুড়ী হরমুজা বেগম ও ননদ শাহেদা বেগম তার ওপর এতে ক্ষিপ্ত হয়েয় তারা সকলে মিলে মোবাইল ফোনে অন্য কারো সথে কথা বলে মিথ্যা অভিযোগ এনে এই অজুহাতে এক সন্তানের জননী ও ৪মাসের অন্তঃসত্ত্বা কল্পনা আক্তার প্রকাশ মুন্নাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় এলাপাথাড়ী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার আত্মচিৎকারে আশপাশ্বে লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যশ ফেজবুকে ভাইরাল হলে শনিবার গভীর রাতে সেনবাগ থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় গৃহবধূ তিনজনকে আসামী করে সেনবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।

 

এব্যাপারে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলা টাইমসকে জানান, গ্রেফতারকৃদের রোববার নোযাখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট