৫৪৪ দিন পর স্কুল খোলায় চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস নিয়ে স্কুলে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা হয়ে উঠেছে মুখরিত। চিৎকার, আর বাঁধভাঙা জোয়ারে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ তাদের। ঢং ঢং করে বাজলো ঘণ্টাধ্বনি। সবাই ঢুকলো শ্রেণিকক্ষে। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, অনেক দিনপর প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরেছি। সকল পরিচিত মুখ দেখে আনন্দিত হয়েছি। কিছুটা স্বস্তি নিয়ে আবারও লেখা পড়ায় মনোযোগী হতে যাচ্ছি ভাবতেই ভালো লাগছে।
থানাহাট পাইলট লকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আফিয়া আক্তার বলেন, অনেকদিন ঘরবন্দি থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। স্কুল খুলছে এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে।
গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, অনেকদিন পর শিক্ষার্থীরা কলেছে ফিরেছে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় দিকনিদের্শনা দেয়া হচ্ছে।
থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৈয়ব আলী জানান,আমার বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা খুব উৎফুল্ল। তারা আনন্দঘণ পরিবেশে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে। তাদের হ্যান্ড ওয়াশ ও হ্যান্ডস্যানেটাইজারের মাধ্যমে হাত পরিস্কার করানো হয়।মাস্ক পরিধান বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তাহের বাংলা টাইমসকে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক স্কুল ১৯টিতে ১১ হাজার ১ শত ১৩জন, ১২টি মাদরাসায় ৩হাজার ৪শত ৫৬জন, ৪টি কলেজে ৩হাজার ৫শত ৯১ জনও ৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ৮ হাজার ৩শত ৩৪জন এবং ছাত্রী ৮হাজার ৪শত ৭জন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আনন্দ উচ্ছ্বাস নিয়ে শিক্ষাঙ্গনে ফিরেছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু সালেহ সরকার বলেন, উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করানো হয়েছে।
Leave a Reply