বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়তে পারে। তাই এ সময়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি নাও পেতে পারেন তিনি। দেশে থেকেই তার চিকিৎসা করাতে হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, তার ওপর আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানাবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ সরকার বাড়াতে পারে। তিনি আবেদন করেছিলেন, তার প্রেক্ষিতে সরকার দুইটি শর্তে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তি দিয়েছে। এখন শুধু নতুন করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যাবে। কিন্তু তার বিদেশে যাওয়ার বিষয় যদি আসে, তাহলে তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে যে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং শর্তে বর্তমানে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেটা বাতিল করতে হবে। তাকে পুনরায় কারাগারে গিয়ে নতুন করে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। তখন সরকার কী করবে, সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা যাবে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় কিছু করার নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয় পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছর মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর কয়েক দফায় বাড়ানো হয় তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ চলতি বছর মার্চে, তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
Leave a Reply