বয়সের ফারাকে বিবাহের কথা আজকাল হামেশাই শোনা যায়। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে সাধারণ নাগরিক অনেকেই এই পথ দিয়ে হেঁটেছেন হামেশাই। এবার ফের একবার এমনই এক ঘটনা ঘটল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ এলাকার নওয়াপাড়া গ্রামে। সালিশি সভায় কার্যত জোর করে বিয়ে দেওয়া হলো অল্পবয়সি এক যুবক ও মধ্য বয়সি মহিলাকে। পাত্রের বয়স ২৫ এবং পাত্রীর বয়স ৫৫। সম্পর্কে তারা দিদা ও নাতি।
কিন্তু হঠাৎ কেন এই জোরজবরদস্তি বিবাহ? জানা গেছে নওয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিরিন আক্তারের দূর সম্পর্কের নাতি বয়স পঁচিশের ফারুক হোসেন। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সেই নাতির সঙ্গেই অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায় দিদাকে। ঘটনাটি দেখে ওই মহিলার ছেলেই গ্রামবাসীকে সমস্ত কথা জানান। আর তার পরেই বসে সালিশি সভা।
জানা যায়, শিরিন আক্তার পাঁচ বছর আগেই হারিয়েছেন তার স্বামীকে। আর তাই এলাকার মাতব্বরেরা ঠিক করেন ওই যুবকের সাথেই বিয়ে দেওয়া হবে ৫৫ বছর বয়সী ওই মহিলার।সেইমতই সোমবার সম্পন্ন হয় বিবাহ।
ম্যারেজ রেজিস্ট্রার কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ বলেন, সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই বিয়ের রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়। বিয়ে দিতে গিয়ে আমি জানতে পারি যে তারা সম্পর্কে দিদা এবং নাতি। এরপর দিন মঙ্গলবার থেকে অবশ্য নবদম্পতিকে গ্রামে দেখা যায়নি।
অন্যদিকে ওই যুবকের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খাইরুল ইসলাম এবং গ্রামের অন্যান্য মাতব্বররা জোর করেই বিবাহ দেয়। বিবাহের রাজি ছিলেন না ওই মহিলাও। শুধু তাই নয়, বিয়ের কথা শোনার পরেই গ্রাম থেকে চম্পট দিয়েছিল ওই যুবক।
স্থানীয় গ্রাম মাতব্বররা এরপর একরকম জোর করেই শিরিনকে ওই যুবকের বাড়িতে রেখে আসেন। পরে সোমবার এই বিবাহ সম্পন্ন হলেও মঙ্গলবারই গ্রাম থেকে বেপাত্তা হয়ে যায় তারা। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য ঘটনাটি তাদের কানে এসেছে তবে এখনও কেউ এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে তবেই পুলিশ হস্তক্ষেপ করবে।
Leave a Reply