নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এরই মধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে শেষটা ভাল করতে পারেনি মাহমুদুল্লাহ বাহিনী। হার দিয়ে শেষ করতে হলো সিরিজ।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা ষ্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করে ল্যাথাম-ফিনের ব্যাটে ১৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে নিউজিল্যান্ড। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানে থামে বাংলাদেশ। ফলে ২৭ রানে জয় পায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড।
১৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ধীরগতিতে এগোয় নাঈম-লিটন জুটি। হামিশ বেনেটের প্রথম বলেই চার মেরে শুরু করেছেন মোহাম্মদ নাঈম। প্রথম ওভারে উঠেছে ৮ রান।
গত দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে স্পিনার এজাজ প্যাটেল। এই ম্যাচেও বাংলাদেশের প্রথম উইকেট শিকার করলো প্যাটেল। দলীয় ২৬ রানে প্যাটেলের প্রথম বলেই কাট করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড়ের কারণে স্কট কুগেলেইনের তালুবন্দী হন লিটন। ১০ রান করে লিটন।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে সৌম্যকে হারালো বাংলাদেশ। ম্যাকনকিকে কাট করতে গিয়ে রাচিনের হাতে ক্যাচ দেন সৌম্য। সৌম্যের বিদায়ের রেশ না কাটতেই সাজঘরে ফিরেন নাঈম শেখ।
উইকেট হারানোর মিছিলে এবার শামিল হলেন মুশফিক। নবম ওভারে রাচিন রবীন্দ্রর বলে তিন রান করে আউট হন মুশফিকুর রহিম।
চার উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে, তখন মাহমুদউল্লাহ-আফিফের ব্যাটে আশা দেখছিল বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু দলীয় ১০৯ রানে ৬৩ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ রান করে স্কট কুগেলেইনের বলে আউট হন বাংলাদেশের অধিনায়ক। পরের ওভারে আউট হন নুরুল হাসান সোহান। এজাজ প্যাটেলের বলে চার রান করে আউট হন তিনি।
সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে সেটি কাজে লাগাতে পারেননি শামীমও। ২ রান করে বোল্ড হন তিনি। তবে একপ্রান্ত ধরে রাখেন আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৪৯ রানে অপরাজিতে থাকেন তিনি।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৩৪ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। এতে ২৭ রানে ম্যাচ হারতে হয় বাংলাদশকে।
Leave a Reply