দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। একই সাথে করোনা সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা দলীয় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরিয়ে আনতে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বছর ৩ অক্টোবর সর্বশেষ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সভায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমনাই জানিয়েছেন।
দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা শেষে তিনি বলেন, পরবর্তী (দ্বাদশ) নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে আমাদের অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। দলের বিভিন্ন উপ-কমিটিগুলোর সেমিনারের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচনের যে ইশতেহার হবে, সেখানে যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে; সেগুলো আপডেট করার জন্য উপ-কমিটিগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেমন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় আমরা কী কী অন্তর্ভুক্ত করবো তা তুলে ধরা হবে।’
তিনি বলেন, ৮ বিভাগের নেতারা নিজেরা লিখিত রিপোর্ট করেছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তাদের এলাকার ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যন্ত রাজনৈতিক চিত্র কী তা জানিয়ে রিপোর্ট উত্থাপন করেছেন নেত্রীর কাছে। যেখানে যেখানে সাংগঠনিক সমস্যা আছে এবং যেগুলো সমাধান করা দরকার, সেগুলোর ব্যাপারেও দলীয় সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে অর্ধেকের বেশি জেলা-উপজেলা কমিটি গঠনের কাজ এখনো বাকি। আগামী বছরের ডিসেম্বরে এ কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। এরপরই জাতীয় সম্মেলন। এর আগেই সব জেলা-উপজেলায় সম্মেলন শেষ করতে চায় আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী মহল।
গত বছর আওয়ামী লীগের গঠিত বিভাগীয় টিম তাদের কার্যক্রম শুরু করলেও করোনার কারণে মাঝে তা অনেকটা স্থবির হয়ে পড়ে। করোনা মহামারির প্রকোপ কিছুটা কমে আসার পর গত বছর নভেম্বর থেকে জেলা-উপজেলাপর্যায়ের সম্মেলনের কাজ শুরু করা হয়। সে সময় বেশ কিছু জেলা ও উপজেলায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে মার্চ থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে আবার তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। চলতি মাস থেকে আবার যেহেতু করোনা মহামারি কিছুটা কমে এসেছে, তাই আবারও সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করার এক ধরনের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, দলের বৈঠকে সাধারণত দলীয় সাংগঠনিক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা-উপজেলার বাদ পড়া সম্মেলনগুলো প্রস্তুত করা আমাদের লক্ষ্য।
Leave a Reply