নারায়ণগঞ্জের ‘সোনারগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাবে’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির পদ থেকে বহিস্কার হতে যাচ্ছেন আসাদুজ্জামান নূর। বেশ কিছুদিন থেকে এমন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে সোনারগাঁয়ের সাংবাদিক মহলে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, আসাদুজ্জামান নূর এক সময় কালের কন্ঠের সোনারগাঁ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিল। কিন্তু তার অনিয়ম দুর্নীতির কারণে তাকে চাকরী থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর তিনি কৌশলে কালের কন্ঠের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সাংবাদিক বলেন, আসাদুজ্জামান নূর এখনো সোনারগাঁয়ে কালের কন্ঠের পরিচয় দিয়ে তার স্বার্থ হাসিল করে আসছেন। অথচ তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। এছাড়া তিনি ‘সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবে’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এদিকে, একই ব্যক্তি আসাদুজ্জামান নূর সোনারগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্বও পালন করে আসছেন। একজনে দুই গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় তিনি দুটি সংগঠন থেকেই বহিস্কার হতে পারেন।
এদিকে, আসাদুজ্জামান নূরের বিরুদ্ধে কথা বলায় ‘সোনারগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাব’ থেকে সংগঠনের সহ-সভাপতি পনির ভূইয়াকে বহিস্কার করা হয়। এনিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ‘সোনারগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাব’ এর উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। সেই উপদেষ্টার সাথে আলাপ-আলোচনা না করে আসাদুজ্জামান নূর নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য পনির ভূইয়াকে বহিস্কার করেন।
সাংবাদিক গাজী মোবারক বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে কালের কন্ঠের সোনারগাঁও প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি সবাইকে সর্তক করে বলতে চাই সোনারগাঁয়ে অন্য কেউ কালের কন্ঠের পরিচয় দিলে তাকে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের এক সদস্য এম এ শাহিন বলেন, আসাদুজ্জামান নূর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি দুটি সংগঠনের দায়িত্বে থাকতে পারে না। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
উপরোক্ত অভিযোগের বিষয়ে মতামত জানতে আসাদুজ্জামান নূরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply