বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি চেয়ে করা পরিবারের আবেদন বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌছায়। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে খালেদা জিয়ার শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন তিনি।

এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। এই আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি দেয়ার সুযোগ সরকারের নেই। এমনকি এই আবেদন গ্রহন করার এখতিয়ারও নেই সরকারের। স্থায়ী মুক্তি দেওয়ার একমাত্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির।

এদিকে, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, মানবিক কারনে তাদের নেত্রীকে সরকার মুক্তি দিতে পারে। এখানে আইনগতভাবে কোন বাধা নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে নেওয়া হয় পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছর মার্চে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর কয়েক দফায় বাড়ানো হয় তার মুক্তির মেয়াদ। সবশেষ চলতি বছর মার্চে, তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয় ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।