নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি বাতিল এবং সম্ভাব্য আহবায়ক কমিটি ঘোষণার দাবিতে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দিনভর জেলার কবিরহাট উপজেলায় উত্তেজনা ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা। বিকালে দু’গ্রুপ পৃথক স্থানে বিক্ষোভ করেছে। এসময় একটি মাইক্রোবাস থেকে ৬টি ককটেল ও তিনটি লোহারপাত সহ ১৮ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে ভূঁইয়ারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘোটনা না ঘটলেও এলাকা জুড়ে রয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কবিরহাট থানার ওসি টমাস বড়ুয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ সদস্য একরামূল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর ঘোষিত কমিটি পুর্ণাঙ্গ করে ঘোষণার দাবিতে বুধবার বিকাল ৫টার দিকে কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের জামতলায় বিক্ষোভ করে।
অপরদিকে, একই সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীরা একই ইউনিয়নের ওটারহাটে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণার দাবিতে মিছিল বের করে। এসময় ওটারহাট এলাকায় একটি মাইক্রোবাস যোগে ১৮ যুবক আসলে তাদেরকে সন্দেহজনকভাবে আটক করে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে গাড়ীতে ৬টি ককটেল ও ৩টি লোহারপাত সহ ওই যুবকদের আটক করে পুলিশ। আটককৃত যুবকদের কবিরহাট থানায় নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ চলছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৬টি ককটেল ও ৩টি লোহারপাতসহ আটককৃতদের থানায় জিজ্ঞাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জসিম উদ্দিন শাহীন বাংলা টাইমসকে বলেন, একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারী বাটইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালাতে বাহির এলাকা থেকে মাইক্রোবাস যোগে অস্ত্র-সস্ত্রসহ সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসলে এলাকাবাসী তাদের আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।
এদিকে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply