মহামারী করোনার প্রকোপ কমে এলেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী ভর্তির রেকর্ড হচ্ছে হাসপাতালে। রাজধানীর সরকার-বেসরকারী ৪১টি হাসপাতালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে।
তবে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনরা।
ঢাকা মহানগরের ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২৮৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয় গত মঙ্গলবার। যা চলতি বছরে একদিনের হিসাবে সর্বোচ্চ । এর বাইরে দেশের অন্যান্য স্থানের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭ জন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সাতদিনে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার দুইশোর মতো। একই সময়ে এই ভাইরাস জ্বরে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ডেনভি-৩ এর আগে ২০১৯ ও ২০২০ সালে প্রাপ্ত বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হ্ওয়া এবছর শিশুদের ঝুকি বেশি। হাসপাতালে ভর্তি হ্ওয়া একেকটি শিশু সুস্থ হতে সময় লাগছে অন্তত দুই সপ্তাহ।
তারা বলেন, মাঝে কিছুটা কমলেও এখন আবার রোগী বাড়তে শুরু করেছে হাসপাতালে। যাদের বেশিরভাগ আসছেন একেবারে শেষ সময়ে। বৃষ্টিপাত না কমায় কোন অভিযানেই মশার প্রাদুর্ভাব কমছে না।
এদিকে, সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ২৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় ২১২ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৫ জন। সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি মোট ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে এক হাজার ৮৮ ও বাইরের বিভিন্ন বিভাগে ১৫৪ জন ভর্তি রয়েছে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৬৯০ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৩৯৫ জন।
হাসপাতালে ভর্তি মোট রোগীর মধ্যে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন জুলাইয়ে, ৩৪ জন আগস্টে ও ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭ জন মারা যান।
Leave a Reply