খবর আসতে শুরু করে মৃত্যু হয়েছে Big Boss ১৩ জয়ী সিদ্ধার্থ শুক্লা’র। এক ঝলকে এই খবর মিথ্যে বলে মনে হলেও একাধিক মিডিয়া নিশ্চিত করতে থাকে এ খবর সত্যি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘুমের মধ্যেই মারা গেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা। এক মুহূর্তেই যেন শেষ হয়ে গেছে সবকিছু। চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি সহকর্মী থেকে অনুরাগী কেউই।
একদিকে যখন মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে প্রিয় অভিনেতার দেহের ময়নাতদন্ত চলেছে, অন্যদিকে তাঁর বাড়িতে আসতে শুরু করে সহকর্মী থেকে প্রাক্তন সহকর্মী সবাই। প্রত্যেকেই সিদ্ধার্থের খবর পাওয়ার পর থেকেই যেমন তার মাকে নিয়ে বা পরিবারকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তেমনই চিন্তিত ছিলেন তার প্রিয় বান্ধবী শেহনাজ গিলকে নিয়ে। সিদ্ধার্থ চলে যাওয়ার পর শেহনাজের অবস্থা থেকে স্তম্ভিত অনেকেই। সেই নিয়ে এবার মুখ খুললেন সিদ্ধার্থের প্রাক্তন সহকর্মী, অভিনেত্রী সম্ভাবনা শেঠ।
সিদ্ধার্থের মৃত্যুর পর রেশমি দেশাই, আসিম রিয়াজ , রাহুল মহাজন, আরতি সিংসহ একাধিক অভিনেতা তার বাড়ি আসেন। মৃত্যুর পরের দিন অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার মুম্বইয়ের ওশিওয়াড়া শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সিদ্ধার্থের। সেখানও পৌঁছান তার বন্ধু, সহকর্মী থেকে ভক্ত অনেকেই। আর সেখানেই গিয়েছিলেন সম্ভাবনা শেঠ। পরে তিনি সেখানকার পরিস্থিতি ও প্রয়াত অভিনেতার পরিবারের অবস্থা নিয়ে বলতে গিয়ে কথা বলেন শেহনাজের ব্যাপারেও।
সম্ভাবনা জানান, সিদ্ধার্থ চলে যাওয়ার পর শেহনাজ স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন অনেকটা। দেহ পঞ্চভূতে বিলিন হওয়ার আগে ওশিওয়াড়াতে শায়িত ছিল কিছু সময়। যাতে সকলে সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারে। শেহনাজ সেইসময়ে সিদ্ধার্থের পায়ের কাছে বসেছিলেন। বার বার বলছিলেন সিদ্ধার্থ মেরা বাচ্চা। পরে তিনি অবশ্য সমস্ত রীতি মেনে সিদ্ধার্থের শ্রাদ্ধের কাজ সম্পন্ন করেন।
তার মায়ের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন এই বিগ বস প্রতিযোগী জানান, “আন্টি ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলেন কিন্তু চেষ্টা করছিলেন শক্ত থাকার। সিদ্ধার্থের এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া খুব একটা সহজ হবে না। এর থেকে কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে সকলের।’’
সিদ্ধার্থ চলে যাওয়ার পর তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বন্ধু রাহুল মহাজনও। তিনি অভিনেতার মায়ের কথা বলতে গিয়ে জানান, “আন্টি তো সিদ্ধার্থেরই মা, এত শক্ত একজন মানুষ বলে বোঝানো যাবে না। শান্ত থেকে সবটা সামলালেন।
এরপরই তিনি শেহনাজকে নিয়ে বলতে গিয়ে জানান, শেহনাজের সঙ্গে কখনও পরিচয় হয়নি। কিন্তু সেদিন সেভাবে ওঁকে দেখলাম তাতে আমি স্তম্ভিত। ওই দৃশ্য ভুলতে আমার সময় লাগবে। যেভাবে ওঁ সিদ্ধার্থকে ডাকছিল, ওঁ বুঝতেই চাইছিল না সিদ্ধার্থের শরীরে আর প্রাণ নেই।’’
সিদ্ধার্থ ও শেহনাজের বিয়ের কথা চলছিল চলতি বছর ডিসেম্বরে। তাদের বিয়ের প্রস্তুতিও নাকি শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে, এবিষয়ে কখনও মুখ খোলেনি সিদ্ধার্থ বা শেহনাজ কেউই। মুখ খোলেনি তাদের পরিবারও।
Leave a Reply