নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া আর কোনো মরদেহ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়।
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সেজান জুস কারখানায় ৫২ শ্রমিক নিহত হওয়া ভবনে আর কোনো মরদেহ বা মরদেহের অংশ বিশেষ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ভবনটিতে তল্লাশি চালানো হয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে তিন শ্রমিক এখনো নিখোঁজ রয়েছে- পরিবারের এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় কারখানার চতুর্থ তলা থেকে মাথার খুলি এবং তিনটি হাড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়। ডিএনএ টেস্টের জন্য সেগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) তল্লাশি চালিয়ে কারখানার ৪ তলার স্তূপ থেকে দুটি মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুণ লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে দগ্ধ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মরদেহগুলো এতটাই পুড়ে যায় যে সেগুলো দেখে চেনা বা শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে ডিএনও টেস্ট করে মরদেহ শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় সব মিলিয়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply