গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। গত তিনদিন থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনও দূর্গম চরাঞ্চলের অনেক বসতবাড়ি হতে পানি নেমে যায়নি। বন্যায় উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৫৫৫ হক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। এর মধ্যে আমন ধান ৫২০ হেক্টর এবং তরিতরকারি ৩৫ হেক্টর।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পরবর্তী ফসলি জমি হতে পানি নেমে গেলে সঠিকভাবে ক্ষতির পরিমাপ করা যাবে। চরাঞ্চলে বসবাসরত পরিবারগুলো এখনও নৌকা দিয়ে যাতায়াত করেছে।
বেলকা নবাবগঞ্জ চরের আরমান আলী জানান, তার ২ বিঘা জমির আমন ধান বন্যার পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও জমি থেকে পানি নেমে যায়নি। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে পানি নেমে গেলে ফসলের তেমন ক্ষতি হবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, বন্যায় উপজেলার ৫৫৫ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ নির্ধারন করা সম্ভব। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফসলি জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পানি কম হলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হবে।
Leave a Reply