1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Editor :
বিজয়নগরে নৌকাডুবি: নৌপথের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি - বাংলা টাইমস
রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

বিজয়নগরে নৌকাডুবি: নৌপথের জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১০৬ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নৌকাডুবির ঘটনায় গ্রেফতার পাঁচজন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাত গত রোববার বিকেলে তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিষটি নিশ্চিত করেন।

 

নৌকাডুবির ঘটনায় পরদিন বিজয়নগরের চম্পকনগরের সেলিম মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী সাতজনের নামে মামলা করেনন। ঘটনার পরপর মামলার সাতজনের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌকাটিকে সামনে থেকে ধাক্কা দেওয়া বালুবাহী বাল্কহেডের মাঝি জমির মিয়া (৩৩), তার সহযোগী রাসেল (২২) ও খোকন মিয়া (২২), বাল্কহেডের মালিক সোলাইমান (৬০) এবং মিষ্ঠু মিয়াকে (৬৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামি মিষ্ঠু মিয়া চম্পকনগর ঘাটের ইজারাদার। ওই ঘাটে তার একটি যাত্রীবাহী নৌকাও চলাচল করে।

 

আদালতে দেওয়া মিষ্ঠুর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘সাত–আট বছর আগে চম্পকনগর-আনন্দবাজার নৌপথের দায়িত্ব পান মিষ্ঠু। চম্পকনগর ঘাট থেকে আনন্দবাজার ঘাট পর্যন্ত প্রতিদিন ১৪টি ইঞ্জিনচালিত যাত্রীবাহী নৌকা চলাচল করে। প্রতিবছর বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে নিলাম ডেকে এক বছরের জন্য চম্পকনগর ঘাটের ইজারা দেওয়া হয়। এ বছর ২ লাখ ১০ হাজার টাকার ডাক ওঠে। নৌকাঘাটের ডাকের টাকা মসজিদে খরচ করা হয়।’

 

স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে মিষ্ঠু বলেন, ‘নৌপথের জন্য সরকারের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। তার নৌকা বা অন্যদের নৌকায় লাইফ জ্যাকেট, বয়া বা অন্যকিছু নেই। রুট পারমিট নিলে বয়া, লাইফ জ্যাকেট থাকতে হয়। এই পথের অনুমোদন থাকলে এবং বয়া, লাইফ জ্যাকেট থাকলে মানুষ মারা যেত না। দুর্ঘটনায় পড়া যাত্রীবাহী নৌকার মালিক ও দুর্ঘটনার সময় যারা নৌকা চালাচ্ছিলেন, তাদের নাম-ঠিকানাও বলেছেন তিনি।

 

দুই বাল্কহেডের মাঝি, সহযোগী ও মালিকেরা স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে বলেছেন, যাত্রীবাহী নৌকাটি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। বাঁ দিকে মোড় নেওয়ায় ধাক্কা লাগে।

 

গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার তিতাস নদীর লইসকা বিলে বালুবোঝাই ট্রলারের সাথে ধাক্কায় নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকাডুবিতে ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় সিসা হোস্ট