ভারতে আটক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। গত রোববার ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) এই চিঠি দেওয়া হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে নানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা।

এরপর শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেন, আটকের সময় তার কাছ থেকে বিদেশি পাসপোর্ট, একাধিক মোবাইল এবং এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।

বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সোহেল রানা বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অফিস করেন। এরপর তিনি আর থানায় আসেননি। বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা জানা নেই।

বিজিবির পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, ভারত-নেপাল সীমান্তে সোহেল রানা নামে এক বাংলাদেশি আটক হয়েছেন বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এরকম কোনো তথ্য পাইনি।

আটক সোহেল রানা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। বনানী থানার এই পুলিশ পরিদর্শকের বোন ও ভগ্নিপতি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’ পরিচালনা করতেন। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকের ৭৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সোহেল রানা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক।

এ ঘটনায় শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্লাহ, নাজনিন নাহার বিথি, কাওসার, কামরুল হাসান, আব্দুল কাদের, নূরজাহান ইসলাম সোনিয়া ও রুবেল খান।

গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে ইসতিয়াক হোসেন টিটু নামে এক ব্যক্তি সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন। আদালত গুলশান থানাকে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। আমরা আদালতের নির্দেশে আবেদনটি এফএআর হিসেবে গ্রহণ করি। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে।