রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়েই বিদ্যুত-গ্যাসসহ রেলের কাজ সম্পন্ন হবে। পদ্মা সেতু আগামী বছরের জুনে খুলে দেওয়া হবে। তখন রেল মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতু পারাপার হবে। যদি কোন কারনে আমরা একই দিনে আমরা রেল উদ্বোধন করতে না পাড়ি। তাহলে আমরা দ্বিতীয় চিন্তা রেখেছি। সেটা হলো ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এ পুরোটাই রেল অপারেট করবে আগামী ২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে রেল লিংকের ভায়াডেক্ট-টুতে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি ট্রলি ট্রেন দিয়ে রেলের দেড়-কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ডিজি ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন, রেল মন্ত্রনালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মেজর জেনারেল জাহিদুল, পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আউয়াল, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, পদ্মা সেতুতে সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুত-গ্যাস সংযোগ এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য মার্চের আগে রেল পথের কাজ শুরু অনুমতি দিতে চাচ্ছে না সেতু কর্তৃপক্ষ। আর রেলপথের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ৬ মাস। ফলে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না। তাই সেতুর সড়ক ও রেলপথ একসাথে উদ্বোধন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি, সেতু কর্তৃৃপক্ষকে রাজি করাতে। যেন দুটি কাজ একসাথেই শেষ করা যায়।
তিনি আরও বলেন, দুইটি প্রকল্প এক সাথে কাজ শেষ করতে না পারলে, রেললাইনের কাজ করতে সমস্যা হবে কেননা, সেতুতে যান চলাচল শুর করলে যে ভাইব্রেশন বা কম্পন হবে তাতে রেলপথের ঢালাইয়ের জটিলতা হবে।
সে ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনক্ষণ পেছাবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেল পথের জন্য মূল সেতুর উদ্বোধন পেছাক সেটা চাই না। তবে একসাথে কাজ শেষ করতে না পারলে, রেল পথ নির্মাণে সমস্যা হবে।
তিনি বলেন, রেলের সার্বিক অগ্রগতি হলো ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৭১ দশমিক, আর ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অগ্রগতি ৪০ দশমিক। এতিমধ্যে রেলের সব কয়টি পিয়ার উঠেছে। সকল র্গাডার উঠে গেছে। ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এই পথে ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪ টি নতুন এবং ৬টি বিদ্যমান।
Leave a Reply