জামালপুরের ইসলামপুরে সার্বিক বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে । সোমবার (৬ সেপোটম্বর) যমুনার পানি বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি কমায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে করে পানি বাহিত রোগ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির পাশাপাশি হাঁস,মুরগী সহ গো খাদ্যে চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ: মালেক জানান- বন্যা দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, রান্না করা খাবার ও গো- খাদ্যের তীব্র সংকট। বাড়িঘরে পানি থাকায় রান্না করার জো নাই। শুকনো খাবার হলে পানিবন্দিরা উপকৃত হবে। যমুনা ওপারে নদী ভাঙ্গন বেড়েছে।
সাপধরী ইউনিয়নের জয়নাল আবেদীন জানান, সাপধরী ইউনিয়ন পুরাটাই বন্যায় আক্রান্ত। এছাড়ও নদী ভাঙ্গন বড়েছে। ত্রাণ তৎপরতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। চেঙ্গানীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন মুহুর্তে নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার শংকা রয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, পানিবন্দিদের জন্য ৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানিবন্দিদের জন্য ৬টি ইউনিয়নে ২১ মেঃটন চাল শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামান ও জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী ইসলামপুরের বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
Leave a Reply