বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ। আর সেই মহাম্যাচে এবার মুখোমুখি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ পরস্পরের মুখোমুখি হবে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)মধ্যরাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী সাড়ে বারোটা)।
যদিও ভারতে এই ম্যাচ সম্প্রচারিত হবে না। কারণ সম্প্রচারকের অভাব। মাস দুয়েক আগে কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে কাপ ঘরে তুলেছিল আর্জেন্টিনা। বারবার বড় মঞ্চে উঠে স্বপ্নভঙ্গ হচ্ছিল লিওনেল মেসির।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে মেসি ট্রফি খরা কাটাতে সফল হন। সেই ম্যাচের শেষে ব্রাজিলের মহাতারকা নেইমার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁকে সান্তনা দিতে এগিয়ে গিয়েছিলেন মেসি।
সর্মথকরা বুঝেছিলেন, মাঠে যতই দুই ফুটবলপাগল দেশের টক্কর থাকুক না কেন, বাইরে দুই দেশের দুই তারকার বন্ধুত্ব অটুট। তাছাড়া বার্সেলোনায় মেসি ও নেইমার একসঙ্গে খেলেছেন অনেকদিন। তাঁদের দুজনের বন্ধুত্বের কথা ফুটবলবিশ্ব ভালো মতোই জানে। বার্সেলোনা ছাড়ার পরও প্যারিস সাঁ জাঁ-তে মেসি এখন নেইমারের সতীর্থ মেসি। অর্থাৎ তাঁদের বন্ধুত্ব অটুটই থাকবে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী সোমবার মধ্যরাতে এই মহাম্যাচ। কোপা ফাইনাল ম্যাচে হারের বদলা নিতে চাইবে ব্রাজিল। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার এই দলটাও সহজে হার মেনে নেওয়ার মতো নয়। তার উপর মেসি বনাম নেইমার-এর লড়াই তো রয়েছেই। আর এখানে অবশ্য সংশয়ও রয়েছে। এই ম্যাচে মেসি বা নেইমারকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়। পিএসজির হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন মেসি।
পিএসজির কোচ অবশ্য বলেছিলেন, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচের জন্য মেসিকে ছাড়া হবে। তিনি চাইলে আর্জেন্টিনা শিবিরে যোগ দিতে পারেন। সমস্যা অবশ্য অন্য জায়গায়। মেসি চোটে কাবু। অন্যদিকে নেইমার ম্যাচ ফিট নন। চিলির বিরুদ্ধে ব্রাজিলের ম্যাচে নেইমারের বাড়তি ওজন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। নেইমার অবশ্য জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর স্বাভাবিক সাইজ -এর থেকে বেশি বড় জার্সি পরেছিলেন। তাই তাঁকে কিছুটা স্থূল দেখাচ্ছিল।
ভেনিজুয়েলার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন মেসি। তবে চোটের জন্য ফিটনেস- এর অভাব বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠছিল। তার উপর ভেনেজুয়েলার ফুটবলারদের কড়া ট্যাকেলের মুখেপড়তে হয়েছিল মেসিকে। অন্যদিকে ব্রাজিল দলেও অ্যালিসন, এডারসন রবার্তো ফিরমিনোর মতো প্রিমিয়ার লিগের খেলা তারকা ফুটবলার নেই। ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা ম্যাচের উত্তেজনা থাকলেও তারকা ফুটবলারদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতি কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে করে তুলেছে।
উল্লেখ্য, যোগ্যতা অর্জন পর্বের সাতটি ম্যাচের প্রতিটি জিতেছে ব্রাজিল। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এখনো অপরাজিত। সাতটির মধ্যে চারটি জয় ও তিনটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
Leave a Reply