ঢাকার বুড়িগঙ্গায় ভাসমান অবস্থায় এক হোটেল ব্যবসায়ীর লাশ ও অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চর মিরেরবাগ এলাকার রহমান ডক ইয়ার্ডের কাছ থেকে আসাদ (৩৫) নামে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ থানা পুলিশ।
নিহত আসাদ ৫৫/১ হোসেনী দালান এলাকার মৃত শহীদুল্লাহ বেপারী পুত্র। দুই পুত্র সন্তানের জনক আসাদ হোসনী দালান এলাকায় আসাদ নাস্তাঘর নামে একটি হোটেল পরিচালনা করতেন।
নিহতের ছোট ভাই মেহেদি হাসান জানান, গতকাল আমাদের সবার বড় ভাই আব্দুল আজিজ অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য সবাই বাসা থেকে বের হলে আসাদ ভাইও আমাদের সাথে বাসা থেকে বের হয়। পরবর্তীতে আজিজ ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করলে কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান। এরপর থেকেই আসাদ ভাই নিখোঁজ ছিল। বড় ভাই আজিজ এর জানাজা শেষ করে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও আসাদ ভাই কে কোথাও খুঁজে না পেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়। রবিবার তার লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
সদরঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শহীদ জানান, রহমান সাহেবের ডকের কাছে নদীতে ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ওয়ারলেস মারফত বিভিন্ন থানায় খবর দিলে আসাদের আত্মীয়-স্বজনরা মর্গে এসে লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। তবে এটা কি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়াও শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন রুহিতপুর আহম্মেদ সাগর ক্যাফের পার্শ্ববর্তী স্থান থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
মডেল থানার এসআই আফজাল হোসেন জানান, এক সিএনজি চালকের মাধ্যমে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় অজ্ঞাত ওই নারীকে মালঞ্চ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে লাশটি সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় নারীটি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন, রাস্তায় শুয়ে থাকা অবস্থায় কোনো গাড়ি তাকে চাপা দিয়েছে এমনটা সুরতহালে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ বিস্তারিত জানা যাবে।
Leave a Reply