বাংলা দখল করে এখন তৃণমূলের দৃষ্টি ত্রিপুরায়। ইতিমধ্যেই বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। আর সেই সূত্রে বিভিন্ন দল থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন বাংলার শাসক দলে। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলে নতুন যোগ দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন বিপ্লব দেব। আর এই পোস্টের পরই ত্রিপুরাজুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। তাতে তিনি লিখেন, ‘আমি ২০১৫ সালে ত্রিপুরায় দায়িত্ব নিয়ে আসি এবং ২০১৭ সালেই বড়জলা উপনির্বাচনে দলের সাংগঠনিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। তখন এই বড়জলার প্রত্যেকের বাড়িতে আমি গিয়েছি। বড়জলার প্রত্যেকে আমাকে চেনে আমিও তাদের চিনি। এখন দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি দল আমাদের রাজ্যে এসেছে। এ দলের নেতৃত্বরা পশ্চিমবঙ্গে গরু পাচারের মতো অসামাজিক সঙ্গে যুক্ত। এখানেও যাদের দলে টানছে তারাও এ ধরনের অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। আর আমার কাছে তথ্য প্রমাণ রয়েছে যার ভিত্তিতে তাদের আমি গ্রেপ্তার করাবো।’
তৃণমূলের সক্রিয়তায় এখন বাকি দলগুলিতে ভাঙন ধরছে ত্রিপুরায়, তা বলাই বাহুল্য। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পোস্টেও একপ্রকার তা মান্যতা পেল। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ভোটকে তৃণমূলের দিক থেকে বিজেপির দিকে আনতে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি দলের কার্যকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলবো প্রত্যেক বিরোধী সিপিএম এর সমর্থকদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য। তাদের কাছে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরুন। তাদের বোঝান ২৫ বছরের সরকার কি করেছে আর আমরা গত সাড়ে তিন বছরে কি করেছি ও করছি।’ (বানান অপরিবর্তীত)।আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতা থাকলে ১০ পয়সারও লেনদেন সামনে আনুন’, ইডির কাছে যাচ্ছেন অনড় অভিষেক বিজেপির অন্দরেও অবশ্য মাথাব্যথা কম নেই। সুদীপ রায় বর্মনের সঙ্গে বিজেপির বিচ্ছেদ ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠতার জল্পনা ছড়িয়েছে ত্রিপুরায়।
ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলের মতে, সুদীপ রায় বর্মন এখন যতই বিদ্রোহের ইঙ্গিত দিন না কেন, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপ্লব দেবের উপরেই আস্থা রাখতে চাইছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব৷ একসময় মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায় বর্মন যে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। তা বিজেপি নেতৃত্বের আর অজানাও নয়৷
সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝপথেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বেরিয়ে যান সুদীপ৷ তার পরেও তাঁর দাবি মানেনি দল। এই পরিস্থিতিতে বিপ্লব দেবের ফেসবুকে পোস্ট বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে শাসক দল।
Leave a Reply