নিজের খাবার বিলিয়ে দিবো অনাহারির মুখে। কবি তো নিজের খাবার বিলিয়ে দিতে চেয়েছেন, আর দেশের করোনা যোদ্ধারা অন্যের জীবন বাঁচাতে করোনার ভয়াবহ সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে বাতির নিচে যেমন অন্ধকার থাকে তেমনি করোনা যোদ্ধাদেরও কিছু না বলা কষ্ট এবং নিষ্ঠুর স্মৃতি আছে।
আলী হাসান রুপম, একজন করোনা যোদ্ধা। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার বিরুদ্ধে ভয়াবহ কঠিন সময়ে যুদ্ধ করেছেন। পিপিই আর এম্বুলেন্স নিয়ে ছুটে গেছেন করোনা লক্ষণধারী ব্যক্তির বাড়িতে। নিজ হাতে যত্ন করে সংগ্রহ করেছেন জীবনঘাতী কোভিড-১৯ এর নমুনা। বর্তমান ভ্যাক্সসিন কর্মসূচিতেও রাখছেন ব্যাপক ভূমিকা।
করোনার সাথে যুদ্ধ করা আলি হাসানকে দিন শেষে বাড়ি ফিরে পড়তে হতো নানা বিড়ম্বনায়। পরিবারের লোক কেউ তার কাছে আসতে চায় না। সন্তান সম্ভবা স্ত্রীও থাকতো দুরে। আলি হাসেন থাকতেন একলা আলাদা ঘরে। এলাকার কেউ তাকে দেখলে দৌড়ে পালাতো। এমনকি এলাকার জন্য সে করোনা আতঙ্ক, তাই ভেবে গ্রামে তাকে ঢুকতেও নিষেধ করেছিলেন অনেকে।
এতো কিছু সয়েও যে যোদ্ধারা দেশের মানুষের সেবা দিয়েছেন, এখনও দিচ্ছেন, সেই আলি হোসেনরা বাস্তবে কি পেয়েছেন? হাসপাতালের রুটিন মাফিক দায়িত্বের পাশাপাশি জীবনের ঝুকি নিয়ে কোভিড-১৯ এর অতিরিক্ত দায়িত্ব বয়ে যাচ্ছেন। এতে শুধু প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই জোটেনি আলি হোসেনের কপালে।
আলি হাসান রুপম বলেন, এখন পর্যন্ত বেতনের বাইরে বাড়তি একটি টাকাও আমি পাইনি। তবে আশাকরি সরকার আমাদের কিছু দিবে। তাতে আমাদের কাজে আগ্রহ ও এনার্জি সবি বাড়বে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরশাদ হোসেন বাংলা টাইমসকে বলেন, কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করা অনেক ঝুকিপূর্ণ কাজ। আমাদের হাসপাতালে এই দায়িত্ব আলি হাসানকে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত একাজের কোনো সম্মানি আমরা তাকে দিতে পারিনি। তবে সরকারি কিছু আসলে অবশ্যই তা পাবে।
Leave a Reply