1. admin@bangla-times.com : admin :
  2. banglatimesnewsbd@gmail.com : Editor :
বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ ::

‘দুর্ণীতিবাজ আমলাদের কারণে দেশ ধ্বংস হচ্ছে’

নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ২৫৫ বার এই সংবাদটি পড়া হয়েছে

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, দুর্ণীতিবাজ আমলাদের কারণে দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দুর্ণীতিতে ভরে গেছে পুরো দেশ। আমাদের দেশের ৮০ ভাগ রাজনীতিবীদ, ৮০ ভাগ আমলা ও ২০ ভাগ ব্যবসায়ী দুর্নীতিবাজ, দেশকে লুটে-পুটে খাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবো, দেশ রক্ষায় এদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে এদের লাগাম টেনে ধরুন। দুর্নীতিবাজদের কারণে প্রধান মন্ত্রী হিসেবে আপনার সকল অর্জন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) রাতে তার ফেসবুক লাইভে এসে শোকাবহ আগষ্ট মাসের শেষ দিনে বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক বিষয়ে এসব কথা বলেন।

 

কাদের মির্জা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কোম্পানীগঞ্জে বিচ্ছিন্নতাবাদী কয়েক ব্যক্তি এখানে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ইশারায়। বরিশালের ঘটনা তিন দিনে আমাদের নেতা আবু হাসনাত আবদুল্লাহর দূরদর্শি নেতৃত্বের কারণে সেখানকার ইউএনও পালিয়ে গেছে। আর আমাদের এখানে সঠিক নেতৃত্বের অভাবে পরিবেশ অশান্ত রয়েছে এবং সংকট বেড়ে চলেছে। আমাদের ইউএনও (কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা) এক সাংবাদিককে বলেছে, ওবায়দুল কাদেরের কথা শুনতে হবে, এমন আইন আমার চাকুরী বিধিতে নেই। আব্দুল কাদের মির্জাকে, যে তার কথা আমাকে শুনতে হবে। কত বড় ধৃষ্টতা তার।

 

কাদের মির্জা আরও বলেন আমার বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের তিন ভাগনে কানা মঞ্জু, ইয়াবা ব্যবসায়ী রাহাত ও টাকা চোরা রিমন্যা আর তার স্ত্রী (ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী এড. ইসরাতুন্নেছা কাদের) এরাই তাকে খাবে, এটা যেন তিনি মনে রাখেন। আমাদের দেশের ভোট চোর জনপ্রতিনিধিদের জনগণের কাছে কোন সম্মান নেই। তারা জনগণের খেদমত না করে শুধু তেল মারা আর তোষামোদিতে লিপ্ত।

 

 

আমার বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দীর্ঘ ১৭ বছর এমপি, মন্ত্রী এবং দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এ সময়ের মধ্যে জনগণের কাজ ছাড়া আমি তার কাছে যাইনি। তিনি আমাকে কোন সুযোগ-সুবিধা বা কোন কাজও দেননি। তিনি যদি বলতে পারেন এবং প্রমাণ হয়, তা’হলে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে যাব।

 

 

তিনি বলেন, আমাদের দেশের তেলমারা রাজনীতিবিদরা এখন আর বঙ্গবন্ধুর কথা বলে না। তারা তোষামোদিতে ব্যস্ত। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা না দিলে খালেদা জিয়া কি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। বাল্য শিক্ষায় অনার্স পাশ, ৮ম শ্রেণীও পাশ করেনি। তার মত অযোগ্য মহিলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছে। আজকে যারা মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও বড় বড় নেতা তারা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা না দিলে কিছুই হতে পারতেন না আপনারা। শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ এখন দেশ এবং জাতির শত্রু বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে কথা বলে না। একটু ক্রটির কারণে বড় মাপের নেতা সৈয়দ আশরাফকে নেত্রী সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অপসারণ করেছিলেন। প্রয়াত সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। ইনু-মেনন’রা (হাসানুল হক ইনু, রাসেদ খান মেনন) এখন কত কথা বলে। ইনু সামরিক বাহিনীর ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের দালাল ও কুকুর বলেছিলেন। এরাই জাসদের গণবাহিনী দিয়ে লুটপাট করে দেশে বিভীশিকাময় অবস্থা তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করিয়েছিল। ইনুকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী বললে ভুল বলা হয়নি। সাবধান করছি, বেঈমানী করবেন না, বেফাঁস কথা বলবেন না। আপনারা ১৪ দল থেকে সরে গেলে কিছু হবে না।

 

আমাদের মন্ত্রী, এমপি এবং সরকারের আমলাদের বলি, থড়ি থড়ি পিয়া কর। কম খান, দেশ বিদেশে বাড়ী-গাড়ী অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। আর কত জনগণের অর্থ লুট করবেন।

 

নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিষয় নিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ২০১৯ সালের ২০ নভেম্বর সম্মেলনে সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা দিয়ে পুর্ণাঙ্গ কমিটি কমিটি হয়নি। ২০২০ সালে এসে পুর্ণাঙ্গ কমিটির প্রস্তাব এখন ঝুলে আছে। এমপি একরামের অবৈধ অস্ত্র, কালো টাকা, গুন্ডা-পান্ডা আছে, কেন্দ্রে তার লোকও আছে। অপরাজনীতি করতে গিয়ে একরাম চৌধুরী এ পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের দু’জনসহ ২৬ মায়ের বুক খালি করেছে। আবারও যদি তাকে দলীয় দায়িত্ব দেয়া হয় বা তার মত অন্য একরামকে বসানো হয় তা আমরা কেউ মেনে নেব না।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
নোটিশ :